মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতন বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটি নারায়ানগঞ্জ এর ফতুল্লা থানার অন্যতম সেরা স্কুল হিসেবে পরিচিত। স্কুলটিতে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষাদান করা হয়।
এ স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ–পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী, অত্যাধুনিক পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ল্যাব ও ব্যবহারিক ক্লাস এবং অত্যাধুনিকস্মার্ট ক্লাস রুম। । এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আধুনিক তথ্য ও বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি; যেখানে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি প্রতিষ্ঠান।
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম, সকল প্রশংসা কেবল মহান আল্লাহ্র জন্য। শিক্ষাই জাতীর মেরুদন্ড, শিক্ষাছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারেনা। শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির জ্ঞান, দক্ষতা ও আচরণের কাঙ্খিত, বাঞ্চিত ও ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছের তাদের স্মৃতিকে সম্মান করে রাখা ও আলোকিত মানুষ তৈরীর প্রত্রকে কেন্দ্রকরে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় “মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতন” প্রতিষ্ঠানটি। নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার অন্তর্গত হাজিগঞ্জ এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। নৈতিক গুনাবলী সম্পন্ন আদর্শ ও যোগ্য মানুষ তৈরীই করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। শিল্প ও সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তা, চেতনা, মূল্যবোধত, দৃষ্টিভঙ্গি তথা জীবন দর্শনকে বিকশিত করার সুযোগ পায় এটি তারই একটি মাধ্যম। আমি বিদ্যালয়ের সাফল্য কামনা করছি।
এ স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ–পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি প্রতিষ্ঠান।
১৯৭১ সনের মহান মুত্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যে সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেছিলেন, যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন তাহাদের স্মৃতিকে চির অ¤øান করে রাখার জন্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে চির প্রবাহমান করার উদ্দেশ্যে এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শিক্ষানুরাগী এবং সমাজসেবীদের সহযোগিতায় এই বিদ্যালয়টি ১৯৯৬ ইং সনে প্রাচ্যের ডান্ডি নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি মরহুম আলহাজ¦ মোঃ গিয়াস উদ্দিন বীর প্রতিকের অবদান চির স্মরণীয়। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন সহায়ক হিসেবে নারায়ণগঞ্জ এ,ডি,পি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, রোটারী ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ মিডটাউন এবং ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অনুদান উল্লেখযোগ্য।
বিগত ২৭ বছর যাবৎ এলাকার শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছাত্র/ছাত্রীদের মেধাকে উন্নত ও যুগোপযোগী মানে পরিণত করার প্রয়াসে সম্মানিত পরিচালনা কমিটি এবং বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ, উচ্চ শিক্ষিত একদল উদীয়মান শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ ব্যতিক্রমধর্মী পাঠদানে নিরলস প্রচেষ্টা চালাইয় যাইতেছেন। যাহার কারণে প্রতি বছর বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতেছে। বিদ্যালয়ের সম্মানিত উপদেষ্টা পরিষদ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে সম্মানিত পরিচালনা কমিটিকে সর্বদাই মূল্যবান উপদেশ দিয়ে থাকেন।
01745